পবিত্র রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৫ দিন সরকারি–বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। তবে এ বিষয়ে আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত আদালতের আদেশের অনুলিপি হাতে পায়নি শিক্ষা বিভাগ। পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা আদালতের অনুলিপির জন্য অপেক্ষা করছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে ১১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি, বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল শিক্ষা বিভাগ। আর রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।
গণমাধ্যমে এই আদেশের কথা প্রচারের পর এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী তাঁকে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয় এখনো আদেশের অনুলিপি পায়নি। সেটা পেলে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রথম আলোর জিজ্ঞাসার জবাবে একই কথা বলেছেন মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। তিনি বলেন, তাঁরা এখনো আদালত থেকে কাগজপত্র (আদেশের কপি) হাতে পাননি। পাওয়ার পর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রমজানে প্রাথমিক বিদ্যালয় ছুটির বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, সচিব ফরিদ আহাম্মদ ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ফোন করলেও তাঁরা কেউ সাড়া দেননি।
এর ফলে রোজায় স্কুল ছুটি নিয়ে এখনো একধরনের অস্পষ্টতা রয়ে গেল।
সূত্রঃ প্রথম আলো