তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের ভোটার-সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে আবেদন নিষ্পত্তি করতে এফবিসিসিআই আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালকে দেওয়া আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বিজিএমইএর করা এক আবেদনের (লিভ টু আপিল) শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
এর আগে এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল দিয়ে নির্বাচনের ভোটার-সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে আবেদন এক সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে এফবিসিসিআই আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালকে নির্দেশ দেন। গত ৩১ জানুয়ারি ভোটার তালিকার একটা অংশ নিয়ে অভিযোগ তুলে এফবিসিসিআই আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন সুরমা গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল সামাদ। ওই আবেদন নিষ্পত্তিতে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে তিনি রিট করেন। তিনি বিজিএমইএর নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট ফোরামের প্যানেল লিডার।
হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে বিজিএমইএ ওই লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে, যা আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে বিজিএমইএর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী এবং আইনজীবী ইমতিয়াজ মঈনুল ইসলাম। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান খান।
পরে আইনজীবী ইমতিয়াজ মঈনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হওয়ায় প্রার্থিতা-সংক্রান্ত অভিযোগ এফবিসিসিআই আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালের এক সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বাধ্যবধকতা থাকছে না।
বিজিএমইএর ২০২৪-২৬ সাল মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নির্বাচনী বোর্ড ২ হাজার ৫৬৩ জনের প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। পরে ফোরামের প্যানেল লিডার ফয়সাল সামাদ ৪২৯ জনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল বোর্ডে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৬৭ জন ভোটারকে বাদ দেয় আপিল বোর্ড। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় আছেন ঢাকার ২ হাজার ৩২ ও চট্টগ্রামের ৪৬৪ জন।
সুত্রঃ প্রথম আলো