ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাসিক জেলা থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজের একটি চালান আজ রোববার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছেছে। ভারতীয় রেলওয়ের ৪২টি ওয়াগন ভর্তি পেঁয়াজের চালান দর্শনায় পৌঁছানোর পর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ বা কোয়ারেন্টিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাতেই চালানটি সিরাজগঞ্জের পথে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম বাড়ায় সরকার ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। আজ দেশে যে পেঁয়াজ এসেছে, তা সেই আমদানির প্রথম চালান। ঢাকায় রোববার দুপুরে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পর্যালোচনা বিষয়ক টাস্কফোর্স কমিটির সভা শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল হক জানিয়েছেন, আমদানি করা পেঁয়াজ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারতের রাজধানী দিল্লির ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড এই পেঁয়াজের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে এই পেঁয়াজের আমদানিকারক টিসিবি। প্রতি টন ৪০০ ডলার দরে কেনা পেঁয়াজের মোট ক্রয়মূল্য ৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। নাসিক থেকে পণ্যবাহী ট্রেনের ৪২টি ওয়াগনে করে পেঁয়াজ বাংলাদেশে আনা হয়েছে।
দর্শনা উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কার্যালয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পেঁয়াজবাহী ট্রেনটি দর্শনায় এসে পৌঁছায়। এরপর সংস্থার পরিদর্শক কাজী ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পেঁয়াজের নমুনা সংগ্রহ করে। নমুনা সংগ্রহ শেষে সন্ধ্যা থেকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে।
মো. রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাইরে থেকে দেখে প্রাথমিকভাবে পেঁয়াজ ভালোই মনে হয়েছে। অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে বাকি পরীক্ষার কাজ চলছে। রাত নয়টা নাগাদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হবে এবং ফলাফল জানা যাবে।’
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মীর্জা কামরুল হক প্রথম আলোকে জানান, উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কার্যালয়ের ছাড়পত্র পাওয়ার পর পেঁয়াজভর্তি ৪২টি ওয়াগন সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং সেখানে পণ্য খালাস করা হবে।
সূত্রঃ প্রথম আলো