ভোলার দৌলতখান উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে মো. রাব্বী (১৭) নামের এক কলেজশিক্ষার্থী খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দৌলতখান পৌরসভার সোনালী ব্যাংক-সংলগ্ন এলাকায় তাকে পেটানো হয়। আজ শুক্রবার সকালে ঢাকায় নেওয়ার পথে সদর উপজেলার ইলিশা এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত রাব্বী দৌলতখান পৌরসভার কলেজপাড়া এলাকার জেলে মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে। সে বাংলাবাজার ফাতেমা খানম মহাবিদ্যালয়ের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিল। পুলিশ জানায়, কিশোর গ্যাংয়ের জ্যেষ্ঠ-কনিষ্ঠ দ্বন্দ্ব মেটাতে গিয়ে রাব্বী খুন হয়। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক কিশোরের বাবাকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে কোনো এক সময় জ্যেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ নিয়ে দ্বন্দ্বে কিশোর গ্যাংয়ের এক সদস্যের (১২) সঙ্গে আরেক সদস্যের (১৫) কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় ১২ বছর বয়সী কিশোর অন্যজনকে হত্যার হুমকি দেয়। ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোর নিহত রাব্বীর ছোট ভাই। বিষয়টি জানতে পেরে রাব্বী বিরোধ মেটাতে সন্ধ্যায় দৌলতখান পৌরসভার সোনালী ব্যাংক-সংলগ্ন এলাকায় যায়। খবর পেয়ে ১২ বছর বয়সী ওই কিশোর দলের কয়েকজন সদস্যকে সেখানে আসতে বলে। পরে তারা রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রাব্বীকে গুরুতর আহত করে ফেলে যায়।
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় রাব্বী উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়ার পথে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার ইলিশা এলাকায় সে মারা যায়। এ ঘটনায় হামলাকারী কিশোরের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
ভোলার পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অভিযুক্ত কিশোরকে (১২) গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বাবাকে আটক করা হয়েছে।