পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নৌকার মাঝি হলেন বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর মামলার প্রধান আসামি মো. রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার।
তিনি পঞ্চম ধাপের (আগামী ২০২২ সালের ০৫ জানুয়ারি) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
জানা গেছে, গত ২০১৬ সালের ১৯ নভেম্বর উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের বাইশকুড়া বাজারের একটি ক্লাবের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রুবেল আকনকে মারধর ও ক্লাবটি ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় প্রধান আসামি করা হয় রফিকুল ইসলামকে। আহত ওই ছাত্রলীগ নেতার বাবা ও উপজেলার ভেচকি গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য মো. পান্না আকন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনকে নামীয় ও আরও ১২-১৩ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করে পরের বছর (২০১৭ সাল) ২০ আগস্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মঠবাড়িয়া পৌর মেয়র মো. রফি উদ্দিন আহমেদ ফেরদাউস বলেন, টিকিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া মো. রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর মামলার আসামি বলে জানি। কিন্তু তার মনোনয়নের তালিকায় নাম পাঠানোর সময় বিষয়টা আমার খেয়াল ছিল না। তাছাড়া কেউ মনেও করিয়ে দেয়নি। আর মনোনয়নের তালিকা পাঠায় জেলা কমিটি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দারের সঙ্গে মবোইল ফোনে কথা হলে ওই মামলা থেকে আদালত তার নাম বাদ দিয়েছেন দাবি করে তিনি জানান, ওই ঘটনার সময় তিনি বরিশাল ছিলেন। স্থানীয় রাজনীতির কারণে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য মো. আশরাফুর রহমানের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ওই মামলার আসামি হয়েছেন। মামলার বাদী পান্না আকন আওয়ামী লীগ করেন না। বরং তিনি ওই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন মেম্বারের আপন ছোট ভাই। তিনি ছোটবেলা থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের বর্তমান কমিটির সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ব্যাপারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. আশরাফুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, নৌকার মনোনয়ন পাওয়া রিপন জমাদ্দার বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করেছিলেন বলে জানি। তবে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার ব্যাপারে আমার কোনো হাত ছিলোনা।