পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে রহিম মিয়া (৩৫) নামের এক ইজিবাইক চালককে অন্যের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাদী নিজেই জানেন না তার মামলায় ইজিবাইক চালকের নাম কিভাবে এলো! অভিযুক্ত আইনজীবীর সহকারীর নাম জসিম হাওলাদার।
জানা যায়, উপজেলার কুমিরমারা গ্রামের মৃত ফেরেস্তালী আকনের স্ত্রী সালেহা বেগমের সাথে তার দেবরের ছেলে সেলিম গংদের আবাদি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। বিরোধীয় সম্পত্তির ধান কেটে নেয়া ও স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে বিধবা সালেহা বেগম চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। যেখানে তার দেবরের ছেলেসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের সময় আইনজীবীর সহকারী জসিম হাওলাদার পূর্ব শক্রতার জেরে পার্শ্ববর্তী হোগলপাতি গ্রামের ইউসুবের ছেলে ইজিবাইক চালক রহিম মিয়াকে (৩৫) আসামি করেন।
মামলার বাদী সালেহা বেগম জানান, তিনি মামলার আসামি রহিম মিয়াকে চিনেন না। মামলা ড্রাফ করার সময় কম্পিউটার কম্পোজে কিভাবে তার নাম লিপিবদ্ধ করা হয়েছে তাও তার জানা নেই। মামলার সাক্ষীরাও রহিম মিয়াকে চিনেন না, এমনকি কোনদিন তাকে দেখেনওনি।
হয়রানির শিকার ইজিবাইক চালক রহিম মিয়া বলেন, পূর্ব শক্রতার জেরে আইনজীবীর সহকারী জসিম আমাকে দুটি মিথ্যা মামলায় আসামি করেন। বর্তমানে ধানকাটা মামলায় পুনরায় আরও একটি মামলায় আসামি করেছেন। ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই, এমনকি ওই মামলার বাদী ও সাক্ষীরাও আমাকে চিনেন না। জসিমের সাথে পূর্ব শত্রুতা থাকায় আমাকে বারবার মিথ্যা মামলায় আসামি করে হয়রানি করা হচ্ছে। এই মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেতে তিনি মঠবাড়িয়া আইনজীবী চৌকিবার ও জেলা আইনজীবী সমিতির হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ বিষয়ে আইনজীবীর সহকারী জসিম হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, বাদী সালেহা বেগমের কথা মতে মামলায় রহিম মিয়াকে আসামি করা হয়েছে।