পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতা রাহাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
হত্যাকান্ডের শিকার রাহাতের বাবা শাহজালাল ওরফে শাহ আলম হাওলাদার বাদী হয়ে ১৪ নভেম্বর রাতে মঠবাড়িয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-১২। ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩০২/৩০৫/৩৪ দঃ বিঃ অপরাধ। মামলার প্রধান আসামি জাহিদ বেপারী (২৩) বড় মাছুয়া গ্রামের খোকন বেপারীর ছেলে।
মামলার ২ ও ৩ নম্বর আসামিরাও গ্রেফাতার হয়নি। ২ নম্বর আসামি মো. সাব্বির খান দক্ষিণ গুলিশাখালী গ্রামের মো. শহিদুল খানের ছেলে এবং মো. সাজ্জাদুর রহমান বাবু ওই একই এলাকার মো. নান্না মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি টিয়ারখালী গ্রামের বাহাদুর খানের ছেলে রনি খান, পূর্ব গুলিশাখালী গ্রামের মহারাজ মালের ছেলে শাওন মাল,আলী ফরাজীর ছেলে মো. আসাদ ফরাজী এবং ওই একই এলাকার নাদীমকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেছে। রাহাত হত্যা ঘটনায় এজাহারনামীয় আসামী ছাড়াও সন্দেহজনকভাবে ২ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। সন্দেহভাজন দক্ষিণ গুলিসাখালী গ্রামের মৃত মোবারক হাওলাদারের ছেলে চুন্নু হাওলাদার (৪০) ও নূর সাইয়েদ হাওলাদারের ছেলে সেন্টু হাওলাদার (৫১)।
উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর মেধাবী ছাত্র রাহাত দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়। ঘটনার সময় রাত ১০টার দিকে রাহাত টিয়ারখালী মজিদ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে সান্ধ্যকালীন শেখ রাসেল মিনি ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা দেখে বাড়ি ফিরছিল। এসময় ইউনিয়নের টিয়ারখালী সড়কে মহারাজ মৃধা বাড়ির সামনে (বোবার বাড়ি) আগেই ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাদের উপর এ হামলা চালায়। হামলায় রাহাতসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করে হামলাকারীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক রাহাতকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, রাহাত হত্যা মামলায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।