বরিশালে তেল, আটা-ময়দা, ডাল ও চিনির পর এবার বেড়েছে চালের দাম।
সরু, মোটা ও মাঝারিসহ প্রায় সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। তবে বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে দাম।
শনিবার (২০ নভেম্বর) নগরীর পুরান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
খুচরা বাজারে সরু মিনিকেট চাল ৬০-৬২ টাকা, ভালো মানের বিআর-২৮ চাল ৫০ থেকে ৫৪ টাকা, মোটা গুটি ও স্বর্ণা চাল ৪২ থেকে ৪৪ টাকা ও বালাম ৪৮ থেকে ৫২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি, বাধাকপি, টমেটো, শালগম, বেগুন,পটল, মুলা, বরবটি, চিচিঙ্গা, করলা, ঝিঙ্গেসহ সব ধরেনের সবজি দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০-২০ টাকা কমেছে।
ফুলকপি ৫০, বাধাকপি ৩০, টমেটো ১৫০, শালগম ৫০, বেগুন ৪০, পটল ৪০, মুলা ৩০, বরবটি ৭০, চিচিঙ্গা ৪০, করলা ৬০, ঝিঙ্গে ৪০, শিম ৫০, পেপে ২৫, শসা ৩০, ধনেপাতা ১২০, কাঁচা মরিচ ৮০, চাল কুমড়া ৪০ ও মিষ্টি কুমড়া ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আলুর কেজি ২৪ টাকা। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫৫-৬০, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫, দেশি আদা ৮০, চায়না আদা ১২০, দেশি রসুন ৬০, চায়না রসুন ১৪০, মোটা দানার মসুর ডাল ৯০, ছোট দানার মসুর ডাল ১১০, প্যাকেট আটা ৪০, ময়দা ৫২ এবং চিনি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছ, গরু ও খাসির মাংস এবং ফার্মের মুরগির দামে তেমন কোনো হেরফের হয়নি। দাম আগের মতোই চড়া রয়েছে।
নগরীর পুরান বাজারে কেনাকাটা করতে আসা শাওন খান নামে এক ক্রেতা জানান, আটা-ময়দা, তেল, ডাল, চিনিসহ অধিকাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামই চড়া।
এখন নতুন করে বেড়েছে চালের দাম। কিন্তু আয় বাড়েনি এক টাকাও। সামনে কি হবে, কিছুই বুঝতে পারছি না। নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে নিম্নআয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
নগরীর পুরান বাজারের খুচরা মুদি দোকানি নিউ আজাদ স্টোরের মালিক সৈয়দ আজাদ আহম্মেদ বলেন, সপ্তাহ দুয়েক ধরে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম একই রয়েছে। তবে চালের পাইকারি বাজারে বস্তাপ্রতি ৩০-৪০ টাকা বেড়েছে।
তাই খুচরা বাজারে কেজি প্রতি ২-৩ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় মূলত দাম বেড়েছে বলে পাইকারি আড়তদাররা জানিয়েছেন।