27.7 C
Mathbaria
সোমবার, জুন ৫, ২০২৩

বেটা ভার্সন

বেতাগীতে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা পড়ে গেল গ্রাম্য মাতব্বরদের সালিসে

আরও পড়ুন

অপরাধ

মঠবাড়িয়া উপজেলা

বরগুনার বেতাগীতে সালিসের মাধ্যমে এক কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগের তদন্ত শেষে নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের জোয়ার করুনা গ্রামের মৃত মেনাজ উদ্দিনের ছেলে মো. আবুল কালাম চলতি বছরের গত ১৭ জুন বিকেলে ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে এক কিশোরীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিশোরীর পরিবার গরিব হওয়ায় আবুল কালাম নিজের অপরাধ আড়াল করতে গ্রাম্য মাতব্বরদের আশ্রয় নেন।

জেলা প্রশাসক কার্যালায়ের অভিযোগে জানা যায়, ধর্ষণের ঘটনায় ‘সালিস’ বন্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও আবুল কালাম স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মাতব্বরদের ম্যানেজ করেন। তাদের দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে সালিসের মাধ্যমে ঘটনা ধামাচাপা দিতে টাকার বিনিময় আপসের সিদ্ধান্ত দেয়।

এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা মো. মাসুম বিল্লাহসহ ২৩ নাগরিকের সুষ্ঠু বিচার চেয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগকারী মো. মাসুম বিল্লাহ জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করায় আবুল কালাম ও তার লোকজন তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ। এ জন্য তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি এবং মামলায় ফাঁসানোর ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তদন্তে আবুল কালামের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রভাবশালীদের চাপ ও আর্থিক লেনদেনের কারণে কিশোরী ও তার পরিবার এখন মুখ খুলতে পারছে না।

অভিযুক্ত মো. আবুল কালাম এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব মিথ্যা। জমিজমার বিরোধের কারণে প্রতিপক্ষের লোকজন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, এই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত শেষে তার দেওয়া প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক মঠবাড়িয়া প্রেস-কে জানাতে ই-মেইল করুন- mathbariapress24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

উপকূল সহ দক্ষিন বাংলার আরও সংবাদ

সর্বশেষ