25.4 C
Mathbaria
শুক্রবার, মার্চ ৩১, ২০২৩

বেটা ভার্সন

বরগুনায় হাতকড়া পরা বাবার গলা জড়িয়ে থাকা শিশুর ছবি ভাইরাল

সোমবার (১৫ নভেম্বর) আমতলী সহকারী জজ আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন

অপরাধ

মঠবাড়িয়া উপজেলা

বরগুনার আমতলীতে দুই শিশু খেলার সময় এক শিশু আহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় অন্য শিশুর বাবাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) আমতলী সহকারী জজ আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দুই শিশু হলো আমতলী পৌরসভার সবুজবাগ এলাকার আবু হানিফের ছেলে হামিম ও একই এলাকার বাহাদুর খানের ছেলে মো. আলিফ। তাদের বয়স তিন বছর। এদের মধ্যে আলিফের বাবা বাহাদুর খানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আলিফ ও তার বাবার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানা যায়। ছবিতে দেখা যায়, হাতকড়া পরিহিত বাবাকে জড়িয়ে ধরে আছে শিশু আলিফ। ছবিটি ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হামিম ও আলিফের বাসা পাশাপাশি হওয়ায় তারা সারাক্ষণ একসঙ্গে থাকে। পারিবারিকভাবেও তাদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এক মাস আগে বাড়ির উঠানে বসে খেলছিল হামিম ও আলিফ। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। এতে চোখে আঘাত লেগে হামিম আহত হয়। পরে আলিফের পরিবার হামিমকে চিকিৎসা করায়।

ঘটনার এক মাস পর হামিমের মা মাইসুরা বাদী হয়ে আলিফের বাবা বাহাদুর খানসহ চারজনকে আসামি করে আমতলী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলায় সোমবার আলিফের বাবা বাহাদুর খানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

আলিফের চাচা এইচএম জুয়েল বলেন, ‘সামান্য বিষয় তারা আদালত পর্যন্ত নিয়ে গেছে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমরা হামিমের চিকিৎসার জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে চেয়েছিলাম। তবুও তারা মামলা উঠিয়ে নেয়নি। এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

স্থানীয় সংগঠক ও স্বেচ্ছাসেবক কাওসার আহমেদ বলেন, বিষয়টি ফেসবুকে দেখেছি। শিশুরা ঝগড়া করবে আমার মিশবে। তবে তাদের ঝগড়া দিয়ে পরিবারের মধ্যে বিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। শিশুরা তাহলে শিখবেটা কী?’

আমতলী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড (সবুজবাগ) কাউন্সিলর মোয়াজ্জেম হোসেন ফরহাদ বলেন, ‘বিষয়টি শুরু থেকেই আমি জানি। ওরা দুজনই শিশু। খেলারছলে এরকম ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে এ ঘটনা মামলা পর্যন্ত যাওয়া ঠিক হয়নি। আমিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য কয়েকজন হামিমের পরিবারকে মীমাংসার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেও মামলা ওঠাননি।’

এ বিষয়ে কথা বলতে হামিমের পরিবারের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক মঠবাড়িয়া প্রেস-কে জানাতে ই-মেইল করুন- mathbariapress24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

উপকূল সহ দক্ষিন বাংলার আরও সংবাদ

সর্বশেষ