30.1 C
Mathbaria
রবিবার, মার্চ ২৬, ২০২৩

বেটা ভার্সন

মঠবাড়িয়ায় বন কর্মকর্তা ফখরুদ্দীনের যোগসাজশে সরকারি গাছ বিক্রির চেষ্টা

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) গাছটি গোড়া থেকে কেটে ফেলা হয়। সন্ধ্যায় ওখান থেকে বিক্রির উদ্দেশ্য গাড়িতে উঠিয়ে নেওয়ার সময় পুলিশ গাছের তিনটি গুড়ি জব্দ করে।

আরও পড়ুন

অপরাধ

মঠবাড়িয়া উপজেলা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার পৌর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কুমিরমারা ওয়াপদা সড়ক থেকে আনুমানিক ২৫ হাজার টাকা মূল্যের সরকারি গাছ আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) গাছটি গোড়া থেকে কেটে ফেলা হয়। সন্ধ্যায় ওখান থেকে বিক্রির উদ্দেশ্য গাড়িতে উঠিয়ে নেওয়ার সময় পুলিশ গাছের তিনটি গুড়ি জব্দ করে।

জানা গেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলার বকশির ঘটিচোরা গ্রামের আ. সালামের ছেলে মো. বেলাল হোসেন ওয়াপদার পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জমিতে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করেন। ঘরের সামনে দোকানঘর বর্ধিত করার জন্য উপজেলা বন কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রায় ৩০ বছরের পুরনো এ গাছটি কেটে ফেলে বিক্রির চেষ্টা করা হয়।

অভিযুক্ত বেলাল বলেন, গাছটি আমি অপসারণের জন্য আবেদন করেছিলাম। উপজেলা বন কর্মকর্তার মৌখিক অনুমতি নিয়ে সরকারি এ গাছটি কাটা হয়েছে।

সামাজিক বনায়নের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম সাজ্জাদ হোসেন জানান, বিভাগীয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ছাড়া সরকারি গাছ কাটতে অনুমতি দেওয়ার এখতিয়ার উপজেলা বন কর্মকর্তার নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. ফখরুদ্দিন জানান, গাছটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এজন্য কেটে ফেলা হয়েছে। এখন গাছটি জব্দ করে রাজস্ব আদায় করা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোন রেজুলেশন ও টেন্ডার ছাড়াই গাছটি কাটা হয়েছে। প্রায় ৫ হাজার টাকার ডালপালা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গাছের মূল গুড়িটি ইঞ্জিনভ্যানে করে আগে থেকেই ঠিক করা স’মিলে (করাত কল) পৌঁছে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়েছে।

ইঞ্জিনভ্যান চালক ওয়ালিউল্লাহ জানান, গাছটি সন্ধ্যার পরপরই আমার গাড়িতে উঠানো হয়। তবে কোথায় নেওয়া হবে তা এখনও আমাকে বলেনি। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গাছ নিয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল কেন তার কোন জবাব দিতে পারেনি ওই চালক।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বালী জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড মঠবাড়িয়া অফিস চত্বরে একটি সরকারি গাছ আম্পান ঝড়ে উপড়ে পড়েছে।

প্রায় তিন বছর ধরে বন বিভাগের সাথে চিঠি চালাচালি করেও ওই গাছটি অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। অথচ কোন রেজুলেশন ও টেন্ডার ছাড়াই একজন উপজেলা বন কর্মকর্তার দোহাই দিয়ে স্থানীয়রা কিভাবে সরকারি গাছ বিক্রি করে তা আমার জানা নেই। এছাড়া ওয়াপদা সড়কের গাছ বিক্রির ক্ষেত্রে পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও অবহিত করা উচিত।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক মঠবাড়িয়া প্রেস-কে জানাতে ই-মেইল করুন- mathbariapress24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

উপকূল সহ দক্ষিন বাংলার আরও সংবাদ

সর্বশেষ