পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পাঠাকাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আটকিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ শনিবার সরেজমিনে ওই মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা গেছে প্রায় একচল্লিশ জন শিক্ষার্থী দুপুর পর্যন্ত প্রবেশ পত্রের জন্য অপেক্ষা করছে। খবর পেয়ে সাংবাকিরা ওই মাদ্রাসায় উপস্থিত হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার ও সাংবাদিকদের চাপের মুখে ওই পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দিতে বাধ্য হয়।
সরেজমিনে গেলে এ সময় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার (যার রোল নং-২২৪৯৪০), নাসরিন (রোল নং- ২২৪৯৪৩), শারমিন (রোল নং- ২২৪৯৩৯) বলেন, ওই মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক বাবু কিরন শংকর বৈঞ্জব আমাদের কাছে তিন হাজার টাকা দাবি করলে আমরা তিন জনেই তিন হাজার টাকা অনেক আগেই পরিশোধ করি। বাকী অনেক শিক্ষার্থী টাকা পরিশোধ না করায় সবার প্রবেশপত্র আটক রাখে এবং আজ শনিবার পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে সকল শিক্ষার্থীদের ধার্যকৃত টাকা পরিশোধ করে প্রবেশ পত্র নিতে বলা হয়।
ওই মাদ্রাসার অপর আর এক শিক্ষার্থী সুমি আক্তার জানায়, মাদ্রাসা কতৃপক্ষের ধার্য্যকৃত তিন হাজার টাকার দুই হাজার টাকা পরিশোধ করলেও বাকি এক হাজার টাকা নিয়া মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বলেন। যা আমাদের পড়াশুনায় অনেকটাই বিঘ্ন ঘটে। মাদ্রাসার অপর এক ছাত্র ইকবাল হোসেন বলেন, প্রবেশ পত্রের জন্য মাদ্রাসা কতৃপক্ষের নিকট বহু অনুনয় বিনয় করে দুই হাজার ৫শত টাকা দেই।
ওই মাদ্রাসার সহ-সুপার মাওলানা আবু ব্ক্কর ছিদ্দিক বলেন, শারিরিক অসুস্থতার কারণে আমি দীর্ঘ দিন ছুটিতে থাকায় এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারছিনা।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক কিরণ শংঙ্কর বৈঞ¦ব প্রবেশপত্রের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ফরম ফিলাপ ও পরীক্ষা চলাকালে অন্যান্য খরচ বাবদ ধরা হয়েছিল, যা অনেক শিক্ষার্থী পরিশোধ করেনি। প্রবেশপত্র বিতরণে বিলম্বের কারণ সর্ম্পকে বলেন, মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির আঃ রব হাওলাদার ঢাকায় থাকায় তার উপস্থিতিতে পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল।
মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আঃ রব হাওরাদার ঢাকায় থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার (মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস) মোঃ রুহুল আমীন বলেন, মৌখিক ভাবে খবর পেয়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদি ও অভিভাবকদের উপস্থিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রবেশপত্র বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোঃ বশির আহমেদ বলেন, সকল পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব ও মাদ্রাসা প্রধানদের সাথে মিটিং করে বোর্ড নিধারিত প্রবেশ পত্র বাবদ ৩শত টাকা ধার্য করা হয়। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত সময়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।