অল্প বয়সেই প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয় নাজমুল হাচান ও ছবি আক্তারের মধ্যে, প্রেম থেকে গড়ায় অপ্রাপ্ত বয়সেই বিয়ে। সংসারও চলে ৮ মাস পর্যন্ত। বাবার বাড়ি গিয়ে আর ফিরে আসেনি স্ত্রী ছবি। পরে শ্বশুর এমাদুল মেয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা করলেন। আর সেই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা হলেও ঘুরে বেড়াচ্ছে স্বামী। এমনই ঘটনা ঘটেছে বরগুনার পাথরঘাটায়।
স্থানীয় শাহ আলম তালুকদার ও নাজমুলের পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে নাজমুলের (২০) সাথে প্রতিবেশি এমাদুল হকের মেয়ে ছবির প্রেমের সম্পর্ক হয়। ছবি আক্তার নাজমুলের বাড়িতে স্ত্রীর দাবি নিয়ে আসায় ওই সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। ৮ মাস আগে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রহমানের মধ্যস্ততায় বয়স না হওয়ায় পারিবারিকভাবে ৩০০ টাকার স্ট্যম্পে নিকাহ রেজিস্ট্রি ছাড়াই স্থানীয় মৌলভীর দ্বারা বিয়ে হয়।
নাজমুলের মা প্রতিবন্ধী হওয়ায় বাড়ির সংসারের সকল দায়িত্ব পড়ে যায় স্ত্রী ছবির উপর। সংসারের কাজ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য ছবি আক্তার বাবার বাড়িতে গিয়ে ওঠে। বাড়িতে না আসায় নাজমুল একাধিকবার স্ত্রী ছবিকে আনতে গেলেও সে আসবে না বলে জানিয়ে দেয়।
৮ মাসের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ছবি আক্তারের বাবা এমাদুল হক বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে জামাই নাজমুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা করেন।
তারা আরো জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান তাদের বিয়ে দিয়েছেন এখন তিনিই আবার মেয়ের বাবাকে দিয়ে ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য মামলা করিয়েছেন, একজন জনপ্রতিনিধির দ্বারা আমরা সাধারণ মানুষ এটা আশা করিনি। সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
স্থানীয় মৌলভী আব্দুল মান্নান মুন্সি জানান, প্রথমে আমি বিয়ে পড়াতে চাইনি পরে ইউপি সদস্যের নির্দেশেই ছেলে ও মেয়ের বিয়ে পড়িয়েছি। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান তার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রথমে কিছুই জানেন না বলে জানালেও পরে তিনি শুনেছেন বলে জানান। স্ট্যাম্পের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন স্ট্যম্পে স্বাক্ষর নেননি এবং তার এলাকায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে শুধু সেই বিষয়ে জানেন।
ওই মামলার বাদি ও ছবি আক্তারের বাবা এমাদুল হক বলেন, আমার মেয়েকে নাজমুলসহ আরও দুজন মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে দুইদিন পর মাদাতলা নামক স্থানে ফেলে রেখে যায়। নাজমুল আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে, ওকে ফাঁসির দড়িতে ঝোলাবোই।