সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাবেক বিচারককে হুমকি দিয়ে ১০ মাস কারাভোগকারী সেই মাহমুদ কাজীর বিরুদ্ধে এবার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি ও বীর মুক্তিযোদ্ধার জমিতে বসতঘর উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।
ওই কাজীর চাঁদাদাবির প্রতিকার চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগে উপজেলার বেতমোর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হারুন অর রশিদের ভাই ফিরোজ খন্দকার বলেন, নিকাহ রেজিষ্ট্রারের দায়িত্বে থাকা প্রতিবেশী মাহমুদ খন্দকার (কাজী) দুর্দান্ত ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। সে নিজেকে স্থানীয় সাংসদের লোক পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষ ও সরকারি কর্মকর্তাদের অহেতুক হয়রানি করে আসছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার জমিতে বসত ঘর উত্তোলন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, তার জরাজীর্ণ ঘর ভেঙে নতুন ঘর তুলতে গেলে মাহমুদ কাজী তার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। এমনকি তার ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হারুন অর রশিদ ঘর উত্তোলন করার সময়ও চাঁদা দাবি করেছিলেন।
যা মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তক্ষেপে পন্ড হয়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়ের বিরুদ্ধে গাছ কাঁটার অভিযোগে একটি মিথ্যা মামলা করেন। এছাড়াও ভাইয়ের ছেলেকে (পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত) ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আহম্মেদ ফরাজী, জলিল জমাদ্দার, কবির হোসেন হাওলাদার, সাবেক ইউপি সদস্য ওয়াদুদ রহমান পিরু সিকদার প্রমূখ।
এব্যাপারে অভিযুক্ত মাহমুদ খন্দকার (কাজী) অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বরং ফিরোজ খন্দকারই সীমানা অতিক্রম করে আমার জমির মধ্যে ঢুকে পড়েছে। এ ঘটনায় নির্বাহী আদালতে মামলাও করা হয়েছে।