পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ভাইজোড়া গ্রামে রহস্যজনকভাবে নিহত কৃষক বারেক গাজী (৬০) লাশ ময়নাতদন্তের জন্য প্রায় দুই মাস পর বুধবার কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিরোজপুরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ খাইরুল ইসলাম চৌধুরী, মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ প্রীতম কুমার পাইক ও পিরোজপুর পিবিআই’র পরিদর্শক আহসান কবিরের উপস্থিতিতে এ লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার ভাইজোড়া গ্রামের মৃত শের আলীর পুত্র কৃষক আব্দুল বারেক গাজী নিজ জমিতে ইরি ধানের বীজ রোপন করেন। ওই দিন বিকালে কে বা কারা প্রতিবেশী মৃত ওয়াজেদ আলী হাওলাদারের পুত্র ইউনুস হাওলাদারের দুই গোছা বীজ চুরি করে।
এতে ইউনুস হাওলাদার বারেক গাজীকে সন্দেহ করে। এক পর্যায়ে কৃষক বাকের গাজীকে সন্ধ্যায় তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে বীজতলা থেকে ধানের বীজ চুরি করে নেয়ার অপবাদ দিয়ে মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই বারেক গাজী মারা গেলে সে স্ট্রোক করেছে বলে ইউনুস হাওলাদার প্রচার চালায়। এক পর্যায়ে প্রভাবশালী ইউনুস হাওলাদার লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়াই কৃষক বারেক গাজীর পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে মরদেহ দাফন সম্পন্ন করে।
এ ঘটনায় কৃষক বারেক গাজীর আপন ভাই আঃ হালিম গাজী বাদী হয়ে ৬ সেপ্টেম্বর মঠবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার অভিযোগ এনে ইউনুস হাওলাদারকে (৫৫) আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউনুস হাওলাদার বলেন, বারেক গাজীকে আমার বাড়িতে ডেকেছি এটা সত্য। তবে আমি তাকে মারধর করিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিরোজপুর পিবিআই’র পরিদর্শক আহসান কবির বলেন, আদালতের নির্দেশে নিহতের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য আমরা লাশ উদ্ধার করে জেলা মর্গে প্রেরণ করেছি। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।