মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর নিবাসী ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকায় তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাক দিয়ে যাই এনজিও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন।
খলিলুর রহমান পৌর শহরের দক্ষিণ বন্দর এলাকার ইট-বালু ব্যবসায়ী। ডাক দিয়ে যাই এনজিওর তিনি একজন নিয়মিত গ্রাহক।
এ সময় তার পক্ষে ছোট ভাই আইউব আলী লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, ডাক দিয়ে যাই এনজিও এর সাবেক মঠবাড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ নাজমুল আলমের দায়িত্ব কালীন ঋণ গ্রহনের সময় ভাগনি সাদিয়া আক্তরের সাথে আমার পুত্র নাসির উদ্দিন এর সাথে পারিবারিক ভাবে মুসলিম আইনে বিবাহ কার্য সম্পন্ন হয়।
কিন্তু সাদিয়ার গোপনে অন্য ছেলের সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক ছিল যা আমাদের জানা ছিলনা। সে জাহিদ নামের জনৈক ছেলের সাথে পিরোজপুর একটি হোটেলে রাত্রি যাপন করে। জাহিদ ওই নগ্ন ছবি মোবালে ভিডিও ধারণ করে আমার পুত্র নাসির উদ্দিন এর ইমো নাম্বারে প্রেরন করেন।
সে অশ্লিল ছবি পাওয়ার পরে আমরা স্থানীয় ভাবে প্যানেল মেয়র মঞ্জুর রহমান শিকদারকে অবহিত করি এবং আমার পুত্র নাসির উদ্দিন চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি তার স্ত্রী ছাদিয়া আক্তারকে রেজিষ্ট্রিকৃত তালাক প্রদান করে। যার কারণে তার প্রতিশোধ নেয়ার উদ্দেশ্যে আমাকে আর্থিক ক্ষতি করার জন্য ডাক দিয়ে যাই এর সাবেক কর্মকর্তা নাজমুল আহসান বর্তমান ডাক দিয়ে যাই এর কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম এরিয়া ম্যানেজার মোঃ জলিল, শাখা ব্যবস্থাপক আউয়াল, হিসাব রক্ষক ডাক দিয়ে যাই মঠবাড়িয়া শাখার কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে আমার ডাক দিয়ে যাই জমাকৃত চেক নাজমুল হাসানকে সরবরাহ করেন (নাজমুল বর্তমানে রিক এনজিওতে কর্মরত রয়েছেন)।
নাজমুল উক্ত জমাকৃত চেকদিয়ে তার বোন রেকসোনা এমদাদকে দিয়ে ১০ লক্ষ টাকার অংক বসিয়ে চেক ডিজঅনার করে ১৯/০৫/২০২০ইং তারিখে আমাকে উকিল নোটিশ করেন। আমি উক্ত নোটিশ প্রাপ্ত হয়ে অফিসে জমাকৃত চেক অনুসন্ধান করে জানতে পারি রোকসানা এমদাদকে ডাক দিয়ে যাই অফিস ওই চেক গোপনে হস্তান্তর করেন।
বিষয়টি অবগত হওয়ার পর বর্তমান ডাক দিয়ে যাই কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলমের কাছে আমার জামানতকৃত চেকের হিসাব চাইলে সকল চেকের সঠিক হিসাব দিতে পারেনি। আমি এক পর্যায়ে এর প্রতিকারে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেও কোন প্রতিকার পাইনি। বর্তমানে ডাক দিয়ে যাই অফিসে আমার ১২ টি চেক ও আমার ঋণ গ্রান্টারের ৬টি চেক মোট ১৮টি চেক জমা আছে। যা ডাক দিয়ে যাই কর্মকর্তা ফেরত দিচ্ছেন না। আমার জমাকৃত চেক ডাক দিয়ে যাই কর্মকর্তারা আত্মসাৎ করে আমার নামে ইতো মধ্যে রেকসোনা এমদাদকে দিয়ে পিরোজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে সিআর ২২২/২১, ১০ লাখ টাকার একটি মামলা দিয়েছে। বাকী চেক দিয়ে বিভিন্ন কোর্টে চেক প্রতারণার মাধ্যমে মামলা দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে।
ডাক দিয়ে যাই এর সাবেক ব্যবস্থাপক নাজমুল আহসান বলেন, আমার ভাগনির সাথে ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানের ছেলের সাথে বিবাহ হয়েছিল এটি সত্য। অফিসে তার জমাকৃত চেক দিয়ে তার নামে ১০ লাখ টাকার আমার বোন কেন মামলা করতে যাবে? ঘটনাটি মূলত সত্য নয়। ডাক দিয়ে যাই এর বর্তমান ব্যবস্থাপক মোঃ আব্দুল জলিল বলেন, যেহেতু ঘটনাটি নিয়ে উভয় পক্ষের মামলা আদালতে চলমান রয়েছে অতএব আদালতের মাধ্যমেই এটির সমাধান হবে।
কো-অর্ডিনেটর অপারেশন জাকির গাজী বলেন, আমাদের সংস্থায় ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে গ্রহিতার কোন ধরণের চেক জমা রাখা হয়না অতএব খলিলুর রহমানেরও চেক জমা নেই। খলিলুর রহমান যেহেতু আমাদের বিবাদী করে আদালতে মামলা করেছেন। আমাদের কাছে কোন ধরণের তথ্য প্রমানাদি থাকলে তা আদালতেই জমা করা হবে।