পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সরকারী ড্রাম বিতরন নিয়ে অতিরিক্ত টাকা লেনদেন ও অনিয়মের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা অস্বীকার করেছেন ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজি।
এ বিষয়ে তিনি বলেন করোনা কালীন সরকারী বিভিন্ন কাজে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে মানুষের সাথে আলাপ না করতে পারলেও সকল বিষয়ে সার্বক্ষনিক তিনি খোজ রেখেছেন। তবে আমার ব্যক্তিগত সহকারী হাসান মিয়া ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আলী রেজা রনজু যদি এর সাথে জড়িত থাকে তবে অবশ্যই প্রশাসন এদের বিরুদ্ধ্যে ব্যাবস্থা নেবে।
তিনি পালটা অভিযোগ করে বলেন মঠবাড়িয়ায় টিআর কাবিখা সহ সরকারী সকল বরাদ্দে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অনিয়ম করে আসছে একটি প্রভাবশালী মহল। এরা মঠবাড়িয়ায় মাদক কারবারের সাথেও জড়িত যারা যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
নিজ নির্বাচনী এলাকায় সকল সরকারী কাজে সব ধরনের অনিয়ম বন্ধ করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ বন্টন এবং বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য গণপূর্ত, শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড্, সওজ ও এলজিইডি সহ বিভিন্ন দফতরে চিঠি দেয়ার কথাও বলেন এই সংসদ সদস্য।
এ বিষয়ে ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজির ব্যক্তিগত সহকারী হাসান মিয়া বলেন, ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজিকে হেয় করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এমন অভিযোগ এনেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তা আমি মাথা পেতে নেবো।
ড্রাম বিতরণে অনিয়মের বিষয়ে ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজির জনসংযোগ কর্মকর্তা আলী রেজা রনজু বলেন ষড়যন্ত্রকারীরা ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজির জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিতা হয়ে তার বিরুদ্ধে শত চেষ্টা করেও কোন অনিয়ম খুঁজে না পেয়ে এখন শেষ চেষ্টা হিসেবে তার কর্মীদের উপর অভিযোগ আনছে। এ বিষয় অনুসন্ধান করে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় এখন ষড়যন্ত্রকারীদের মাথা ঠিক নেই। সামনে নির্বাচন তাই বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজির প্রবল জনপ্রিয়তাকে খর্ব করার চেষ্টাও বিফলে চলে গেল।
সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির একান্ত সচিব মোঃ তিরান হোসেন বলেন চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় কিছু মানুষ ড্রাম না পেয়ে এমনভবে অভিযোগ আকারে ব্যাক্ত করতে পারেন।
বাংলাভিশন অনলাইনের সাথে কথা বলার সময় এ কথা বলেন ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজি।