পিরোজপুর জেলায় করোনার ফাইজার টিকা সংরক্ষণের কোনো ধরনের ওয়াক ইন কুলার (ডব্লিউআইসি) ভবন না থাকায় টিকা সংরক্ষণ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। টিকা প্রত্যাশীদের এখন থেকে পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠি জেলা হাসপাতালের সংরক্ষণাগারের ওপর নির্ভর করে টিকা নিতে হবে।
পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগের অন্য পাঁচটি জেলায় ডব্লিউআইসি রয়েছে। নেই শুধু পিরোজপুর জেলায়। জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) নির্মিত তাপ নিয়ন্ত্রণের আধুনিক ব্যবস্থাসম্পন্ন এই ভবনে স্বাস্থ্য বিভাগ টিকা সংরক্ষণ করে। ২০১৮ সালে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় টিকা সংরক্ষণের জন্য প্রতিটি জেলায় ডব্লিউআইসি ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয় ইউনিসেফ। কিন্তু পিরোজপুর সদর হাসপাতালের স্থান ইউনিসেফের অনুমোদন না দেওয়ায় তখন এখানে ডব্লিউআইসি ভবন নির্মাণ করা যায়নি।
বর্তমানে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ১০টি আইস লাইন রেফ্রিজারেটর আছে। এতে শিশুদের টিকা রাখার পর ২০ থেকে ২৫ হাজার করোনার টিকা রাখা যায়। তবে ডব্লিউআইসি ভবন তৈরি করা গেলে লক্ষাধিক করোনার টিকা সংরক্ষণ সম্ভব হতো। এদিকে ফাইজারের টিকা সংরক্ষণের জন্য মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রা প্রয়োজন। কিন্তু আইস লাইন রেফ্রিজারেটরে এই তাপমাত্রা পাওয়া সম্ভব নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, তৎকালীন সিভিল সার্জন ডব্লিউআইসি ভবন নির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারণে অনীহা দেখিয়েছেন। তবে পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভবন নির্মাণের জন্য বর্তমান সিভিল সার্জন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৬৩ হাজার ৮১৯ জন প্রথম ডোজ ও ১ লাখ ৮ হাজার ৫১৫ জন দ্বিতীয় ডোজ করোনার টিকা নিয়েছেন।
সিভিল সার্জন মো. হাসনাত ইউসুফ বলেন, পিরোজপুরে ডব্লিউআইসি না থাকায় ফাইজারের টিকা সংরক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে ফাইজারের টিকা নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে যেতে হবে। পিরোজপুরে ডব্লিউআইসি স্থাপনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর জন্য স্থান নির্ধারণও করা হয়েছে।