পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ধানীসাফা মনির হোসেন সার্জিক্যাল ক্লিনিকে সেবার নামে ভুল চিকিৎসা ও ক্লিনিক কতৃপক্ষের অমানবিক আচরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প.কর্মকর্তার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, মতিউর রহমান গেজেট নং ১০৫৯, পিরোজপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে জেলা চেয়ারম্যান কর্তৃক সম্মানী ভাতা গ্রহন করার জন্য ২৩/০৮/২০২১ইং মঠবাড়িয়া হতে পিরোজপুর রওনা দেন।
পথিমধ্যে সাফা এলাকার নিকটবর্তী এক স্থানে গাড়ি এক্সিডেন্ট করে পা ভেঙে যায় ওই মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান এর। তাই দ্রুত চিকিৎসার জন্য সাফা বাজারের কাছে মনির হোসেন সার্জিকাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে এক্সরে করে এবং পায়ের ক্ষতস্থানে সেলাই করে দেন একজন হাতুড়ি ডাক্তার। এরপর তার টেষ্ট ও চিকিৎসা বাবদ ৩০০০ টাকা ধার্য করে টাকা পরিশোধ করতে বললেন ক্লিনিকের মালিক মনির হোসেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার কাছে ৩০০০ টাকা না থাকার কারণে বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান বললেন পিরোজপুর থেকে টাকা নিয়ে আসার পথে আপনার টাকা পরিশোধ করে যাব। কিন্তু মালিক মনির হোসেন বীর মুক্তিযোদ্ধার কথা বিশ্বাস না করে সে মানতে চাইল না মনির হোসেন বললেন টাকা এখনই দিয়ে যেতে হবে। না হয় আপনার ছেলেকে রেখে যান তাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান উপায়ন্তর না পেয়ে ছেলে আব্দুর রহমানকে রেখে যায়।
সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ছেলেকে আটকে রাখে ক্লিনিক কতৃপক্ষ, কিন্তু পিরোজপুর জেলা পরিষদ থেকে নগদ টাকা না পেয়ে চেক পাওয়ার কারণে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ওই ক্লিনিকে চলে এসে ক্লিনিকের মালিক মনিরকে বললেন, যে হাতে ক্যাশ পাইনি জেলা পরিষদ থেকে চেক দিয়েছে, আপনার একটি বিকাশ নাম্বার দিন আমি বাড়িতে গিয়ে আপনাকে টাকা পাঠিয়ে দিবো, তারপর ও ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার কথা বিশ্বাস না করে মোটরসাইকেলের ড্রাইভার এর লাইসেন্স এবং গাড়ির কাগজ পত্র রেখে গিয়ে তার ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে বললেন মনির হোসেন।
তার কথায় বাধ্য হয়ে ড্রাইভারের গাড়ির কাগজ পত্র জমা রেখে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে মঠবাড়িয়া চলে আসেন। এসে উন্নত চিকিৎসার জন্য মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে মুক্তিযোদ্ধার পায় ভুল চিকিৎসা করা হয়েছে বলে মৌখিকভাবে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক। এবং তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে রেফার করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান বরিশাল হসপিটালে গেলে তারপায় অপারেশন করা হয় এবং দীর্ঘ ৩৫ দিন হসপিটালে ভর্তি থাকে তারপর মোটামুটি সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফেরেন।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ করে ভুয়া ডাক্তার দ্বারা পরিচালিত ওই ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়ার জোর দাবী জানান।
এ বিষয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ আলী হোসেন অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তদন্ত সাপেক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জন কর্মকর্তার বরাবর লিখিত রিপোর্ট দাখিল করা হবে।