মঠবাড়িয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মামলা দিয়েও রহিম (২০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে মামলার বাদি রবিন হালদারের সহযোগিরা।
শুক্রবার সকালে রবিন মঠবাড়িয়া থানায় প্রতিবেশী জলিল শরীফকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
অপরদিকে জলিল শরীফের ছেলে রহিমকে কুপিয়ে জখম করে। ওই মামলায় শুক্রবার বিকেলে জলিল শরীফ ও তার অপর ছেলে আল আমিন শরীফকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। রবিন উপজেলার বকসির ঘটিচোরা গ্রামের রনজিৎ কুমার ধলু হালদারের ছেলে। জলিল শরীফ মৃত. আবুল হাসেম শরীফের ছেলে।
জলিল শরীফের স্ত্রী সুরমা বেগম জানান, তাদের বসত ঘরের পাশে ৬০ শতাশং জমি কিনে ৪৫ বছর ধরে ভোগ দখল আসছেন। কিন্তু প্রতিবেশী ধলু ও তার ছেলে রবিন, রতন বার বার দখল করার পায়তারা করে অহেতুক হয়রানি করে আসছিলো। এঘটনায় একাধিক সালিস বৈঠক ডাকলেও তারা তা অমান্য করে।
এদিকে সালিস বৈঠকের কগজে দেখা গেছে, জলিল শরীফ বাদি হয়ে রনজিৎ কুমার ধলু গংদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এতে চেয়ারম্যান এবিএম ফারুক হাসান তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, বিবাদীরা সমাধানে রাজি নন। তারা মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। জলিল শরীফ আদালতে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
কলেজের অধ্যক্ষ আজীম উল হক তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, আসামীগণ তাদের পক্ষে কোন কাগজ প্রদান করিতে পারে নাই। আসামীরা গায়ের জোরে গাছ কেটে নিয়েছে। এছাড়াও জলিল শরীফ ধলু গংদের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় একটি ডিজি করলে মঠবাড়িয়া থানার এসআই জেন্নাত আলী আসামীদের বিরুদ্ধে পেনাল কোড এর ৫০৬ (২) ধারার অপরাধ প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দেন।
সুরমা বেগম ক্ষোভের সাথে বলেন, বৃহস্পতিবার আমাদের জমির সীমানায় বেড়া দেই। পরে রবিনের মা ও স্ত্রী কাদামাটিতে শুয়ে পরে এবং পাকের ঘরের চালায় অগুন ধরিয়ে দেয়। রবিনের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা এটাকে পুজি করে হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং আমার স্বামী সন্তানের নামে মিথ্যা মামলা করে। অপরদিকে মামলার পর আমার এক ছেলেকে তারা কুপিয়ে জখম করেছে। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বিকেলে লোকমুখে জানতে পারি আমার ছেলে হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশকে পূর্বেই এদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। তারপরেও ঘটনার সত্যতা যাচাই না করে মামলা নিয়েছে। এ ব্যাপারে রনজিৎ কুমার ধলু হালদারের স্ত্রী পুস্প রানী এ সম্পত্তি তিনি পৈত্রিক সূত্রে পেয়ে ৩০ বছর ধরে দখলে রয়েছেন বলে দাবী করেন। কেন শালিশ বৈঠকে বসছেন না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে বলেন, আদালতের রায়ে জমি আমরাই পাবো।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, গ্রেফতারকৃতদের শনিবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।