পিরোজপুরঃ জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের সুমন (২৪) সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানাগেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সিকদার ডায়গনষ্টিক সেন্টার এ্যান্ড মেডিকেল সার্ভিসে দায়িত্ব প্রাপ্ত লিটন কুমার জিতের কাছে সুমনের আত্মীয় হালিমা বেগম নামে এক রোগীর কিছু শারীরিক পরীক্ষা নিরিক্ষা করানোর জন্য অত্র প্রতিষ্ঠানে যায়। সুমনের জমা দেয়া ব্যাবস্থাপত্র অনুযায়ী ৩টি টেষ্ট রির্পোটের বিল নিয়ে ভুল বোঝা বুঝির মধ্যে দিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এক পর্যায় তা হাতাহাতি মারামারিতে রূপ নেয়। স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় উভয় পক্ষের লোকজন শান্ত হলে যে যার স্থানে চলে যান। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে অত্র প্রতিষ্ঠানের মালিক আসাদুর রহমান ১৩/০২/২০২১ইং তারিখে স্থানীয় থানায় বাদী হয়ে সুমনকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করেন। অন্যান্য আসামীর মধ্যে জাহাঙ্গীর মীর, হারুন মীর, খলিল মীর, সর্ব সাং দক্ষিণ মিঠাখালী।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে, আসামীগন সহ ২/৩ জন অজ্ঞত নামা লোকজন লাঠিসোটা, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদীর প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অনাধিকার প্রবেশ করে লিটন ও মনিকা রাণিকে মারপিট করে। সুমন তার সাথে থাকা লোহার রড দিয়ে লিটনকে খুনের উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ করে আঘাত করে। যা লিটনের হাত দিয়ে প্রতিরোধ করতে গেলে ওই আঘাত তার হাতের কব্জির উপরি ভাগে পরলে হার ভাঙ্গা জখম হয় ও মনিকা রাণিকে শ্লীলতাহানী ঘটানোর ঘটনা রয়েছে। তাদের সাথে থাকা স্বর্ণালঙ্কার সহ প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র ভাঙ্গার অভিযোগ করা হয়েছে। যে ঘটনায় বর্তমানে সুমন জেল হাজতে রয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই জাফর মামলাটির চুড়ান্ত প্রতিবেদন ইতোমধ্যে আদালতে দাখিল করেছেন।
সুমনের বাবা খলিল মীর বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডাক্তার বাদী কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে মেডিকেল রির্পোট সৃজন করেন। যে ঘটনায় আমার নির্দোষ ছেলে হাজত বাস করছে।
মামলার বাদী আসাদুর রহমান বলেন, সুমন সহ অন্যান্য আসামীরা অফিসে আসবাবপত্র ভাংচুর সহ অফিস স্টাফ লিটন কুমারের ওপর হামলা ও মনিকা রাণিকে শ্লীলতাহানী ঘটায়। যে ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আমি যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করেছি।