মঠবাড়িয়ার ধানীসাফা-মিরুখালী-আমুয়া সওজের রাস্তা ২ স্থানে ভেঙ্গে খালে পরিণত হওয়ায় ৪ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
ওয়াহেদাবাদ, মিরুখালী, ছোটহারজী ও চালিতাবুনিয়ার প্রায় ১০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পথচারীর যাতায়াতের রাস্তাটি গত ১০/১২ দিন ধরে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।
রোববার (সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১) সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, অমবস্যায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘু চাপের প্রভাবে পানির চাপে রাস্তাটির বাদুরা বাজার থেকে মিরুখালী বাজার পর্যন্ত অংশে রাস্তার নিচ দিয়ে ৫/৬টি চালার সৃষ্টি হয়। এসব চালা দিয়ে পানি চলাচল করতে করাতে ২ স্থানে রাস্তা ভেঙ্গে গিয়ে খালে পরিনত হয়েছে। অন্য চালা গুলোও যে কোন সময় ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় রাস্তা সংলগ্ন ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম বিপাকে। ভাঙ্গা স্থানে সুপারি গাছ ও লোহার ভীম দিয়ে মানুষজন পারপার হচ্ছে।
অটো ড্রাইভার মো. রোহান হাওলাদার জানান, ১০/১২ দিন অটো বন্ধ থাকায় আয়-উপার্যন না থাকায় অনেক ড্রাইভার পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। রোহান দ্রুত রাস্তা মেরামতের দাবী জানান।
উত্তর মিরুখালী স. প্রা. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম ও বাদুরা স. প্রা. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল্লাহ আল মামুন জানান, দীর্ঘ করোনা ছুটির পর বিদ্যালয় খুললেও রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছেনা।
এব্যাপারে সওজের পিরোজপুর অফিসের এসও মো. আলি আকবরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, রাস্তার ভাঙা অংশ শিগগিরই মেরামত করা হবে।