দীর্ঘ করোনা ছুটির পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিন রোববার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে এম লতিফ ইনষ্টিটিউশনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্বে সহকারী শিক্ষকদের বিরোধকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পেরে রোববার বিকেলে স্থানীয় উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ কতিপয় শিক্ষকের হুমকির কারনে তিনি বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেননি। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমান করতে না পেরে সহকারী প্রধান শিক্ষক তার কক্ষ তক্তা দিয়ে আটকে দেয়ার অভিযোগ করেন।
সহকারী প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে শিক্ষকরা রোববার রাতে সংবাদ সম্মেলনে করেছে। রোববার রাতে সহকারী প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান স্কুলে যোগ দানের শুরু থেকেই সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে অশোভনীয় আচারন করে আসছেন।
তার অর্থ অত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতায় প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাড়িয়েছে। এসময় ২৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন। বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জানান, ২০২০ সালের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়।
এরপর অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ নিয়ে আন্দোলন কর্মসূচিতে বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অঃ দাঃ) বশির উদ্দিন আহমেদ জানান, কে এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন ব্যক্তিগত বিষয়। এ নিয়ে প্রশাসনের কোন বক্তব্য নেই। তবে প্রধান শিক্ষক মোস্তফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত চলছে।
আগের সংবাদঃ
* কে এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের সহকারি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অভিযোগ
* মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ছাড়াই দীর্ঘ মেডিক্যাল ছুটিতে কে এম লতিফের প্রধান শিক্ষক
* মঠবাড়িয়ায় প্রাণনাশের ভয়ে স্কুলে ঢুকতে পারছেনা প্রধান শিক্ষক, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ
