পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ছোট ভাইয়ের বাগানের সুপারী জোর করে পেরে নেয়ার প্রতিবাদ করলে হামলায় নারীসহ ৩ জন আহত হয়েছে।
এসময় প্রতিপক্ষের নিজেদের লাঠির আঘাতে আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলেও স্থানীয়রা জানান।
উপজেলার পশ্চিম বড় মাছুয়া গ্রামে রুহুল তালাকদার, রহিম, ডালিম হাওলাদার, তাসলিমা বেগম, লোকমান হোসেন, আহত মহসিন হাওলাদার জানান, নবী হোসেন ও শহীদ হাওলাদার তাদের পিতা জীবিত থাকা কালীন সময় সমান অংশে বাড়ির জমি ভোগ দখল করতেন। শহীদ হাওলাদার তার সন্তানদের লেখা পড়া করানোর জন্য সাত বছর আগে বাড়ি ছেড়ে স্থানীয় বড় মাছুয়া বাজারে ভাড়া বাসায় ওঠেন। এই সুযোগে নবী হোসেন তার ছোট ভাই শহীদের সম্পত্তি দখল করার পায়তার চালায়।
এ ঘটনায় একাধিক মামলা ও শালিশ বৈঠক বসলেও কোন সুরহা হয়নি। গত ৩ মাস আগে শহীদ হাওলাদার ব্যবসায়িক কাজে ঢাকা গেলে শহীদের বসত ঘরটি ভেঙে গুড়িয়ে দেয় এবং ঘরের প্লাট ফর্মে (পোতায়) আলু চাষ করে।
এদিকে গত শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) শহীদ হাওলাদারের সুপারী জোর করে বড় ভাই নবী হোসেন পেরে নেয়। সংবাদ পেয়ে শহীদ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুপারি পারায় বাঁধা দিলে পূর্ব পরিকল্পণা অনুযায়ি হামালা চালায়। এতে শহীদ হাওলাদার, তার স্ত্রী সুরমা বেগম ও প্রতিবেশী ভাতিজা মহসিন আহত হয়।
এসময় নিজেদের লাঠির আঘাতে নবী হোসেনের ভাড়াটিয়া মাস্তান আনোয়ার হোসেনও আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহত আনোয়ার ও মহসিনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
স্থানীয়রা ক্ষোভের সাথে আরও জানান, নবী হোসেন ও শহীদের বৈমাত্র ভাই আনোয়ার হোসেন। সে সাবেক ডাকাত অধ্যুষিত এলাকা উপজেলার বুড়িরচর গ্রামের মৃত. নাজেম আলী হাওলাদারের ছেলে। নবী হোসেন তাকে লঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করছে। নবী হোসেন ও শহীদ হাওলাদার পশ্চিম বড় মাছুয়া গ্রামের মৃত. আফেজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে।
এব্যপারে নবী হোসেনের স্ত্রী আছিয়া বেগম বলেন, আনোয়ার হোসেনকে তারা জমি দিয়ে তাদের কাছে কাছে রাখেন। দেবর শহীদ হাওলাদার তাদের কাছে সাম্যক জমি বিক্রি করেছে। এখানে শহীদের কোন স্বত্ত নাই।
শালিশদার সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন ও শাহিন খান জানান, শাহিদ ওই বাড়িতে ২৫ শতাংশ জমি পাবে। দু‘ভাইয়ের বিবাদ মিমাংসা হওয়া দরকার।
ভুক্তভোগী শহীদ হাওলাদার বলেন, তার বড় ভাই নবী হোসেন জমি সংক্রান্ত বিরোধে তাকে একাধিক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে সর্বশান্ত করে দিচ্ছেন। তিনি প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।