স্থানীয় উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে একথা বলেন প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
সারা দেশে উৎসব মূখর পরিবেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিনে পাঠদান শুরু হলেও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার কে.এম.লতীফ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ কতিপয় শিক্ষকের হুমকির কারণে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেত পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনায় প্রধান শিক্ষক রোববার বিকেলে স্থানীয় উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি বিদ্যালয়ে ২০১৭ সালে যোগদানের পর থেকে সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান আমাকে মেনে নিতে না পারায় বিভিন্ন সময় অসহযোগিতা ও সহকার্মীদের সাথে দূরত্ব সৃষ্টিতে মূখ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া আমি যেন অফিসে প্রবেশ করতে না পারি সেজন্য আমার অফিসে তক্তা পিটিয়ে আটকে রেখেছে।
অপর দিকে পলিথিন ব্যাগে ময়লা ভরে বাসার দরজায় নিক্ষেপ করে। তাছাড়া আমার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। বিষয়টি আমি মঠবাড়িয়া থানাকে লিখিতভাবে অবহিত করি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, সহকারি প্রধান শিক্ষকের অব্যহত হুমকির কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে বিদ্যালয়ের কোয়ার্টার ছেড়ে গত মার্চ মাস থেকে বাগেরহাটে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছি।
এ ব্যাপারে সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যোগদানের পর থেকে তিনিই আমাদের সকলের সাথে খারাপ আচারণ করে আসছেন।

এদিকে প্রধান শিক্ষকের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষক ও কর্মচারী বৃন্দ।
এসময় বক্তারা প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, প্রধান শিক্ষকের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আগের সংবাদঃ
* কে এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের সহকারি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অভিযোগ
* মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ছাড়াই দীর্ঘ মেডিক্যাল ছুটিতে কে এম লতিফের প্রধান শিক্ষক