মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর সহ কয়েকজন নেতাকর্মীদের ওপর ঢাকায় মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১) রাতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মিঠাখালী সিনিয়র মাদ্রাসার সভাপতি জনাব আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর এর উপর ঢাকায় হামলার প্রতিবাদে স্থানীয় গুদিঘাটা বাজারে এই মানববন্ধন করে মিঠাখালী সিনিয়র মাদ্রাসা ও স্থানীয় জনসাধারন।
সকালে উপজেলার বান্ধাঘাটা বাজারে মানববন্ধনে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. ছগির আকন‘র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহফুজ উল্লাহ, উপাধ্যক্ষ এবিএম ইদ্রিস আলী, প্রভাষক নাসির উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন মাতুব্বর।
এ সময় বক্তারা এই হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার দাবী করেন।

অপরদিকে হামলার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর, সহ-সভাপতি আরিফ-উল-হক, প্রচার সম্পাদক ফজলুল হক মনি, শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বায়জিদ আহমেদ খানকে জামায়াত পরিবারের আখ্যা দিয়ে করে তাকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি ও হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান।
এর আগে হামলার ঘটনায় মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বায়জিদ আহমেদ খানকে অভিযুক্ত করে মঠবাড়িয়ায় গত বুধবার (সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১) সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীরা মিছিলটি বের করেছিলো।

ঐদিন বক্তারা ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বায়জিদ আহমেদ খানকে জামায়াত পরিবারের আখ্যা দিয়ে করে তাকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানান। এসময় বায়জিদ আহমেদ খানের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সোহেল খান বলেন, সেলিম মাতুব্বরের ওপর হামলার সাথে আমি জড়িত নই। তিনি আমাকে অপমান মূলক কথা বলার পর কে বা কারা তার ওপর হামলা চালিয়েছে আমি জানিনা। ওখানে বিভিন্ন পক্ষের লোকজন ছিল।
এ প্রসঙ্গে জানতে জাহাঙ্গীর কবির নানক এর ব্যক্তিগত সহকারী মাসুদুর রহমান বিপ্লব বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমাদের নলেজে নাই। আমরা নিচে হাউকাউ শুনেছিলাম। পরে সেখানে গিয়ে কাউকে দেখি নাই।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বায়জিদ আহমেদ খান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে আমার নেতাকর্মী নয়, আমার বড় ভাই সোহেল খান ও তার অনুসারীদের সঙ্গে নানক ভাইয়ের অফিসে কথা কাটাকাটি হয়েছে। ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। শুনেছি আমার ভাই সেখানে ছিলেন। বিষয়টিতে আমাকে জড়ানো হচ্ছে যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এঘটনায় মঠবাড়িয়ার সর্বত্রই উত্তেজনা বিরাজ করছে। মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল জানান, সব ধরনের সহিংসতা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আগের সংবাদঃ
আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর সহ কয়েকজন নেতাকর্মীদের ওপর ঢাকায় হামলা
মঠবাড়িয়ায় আ’লীগ নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল