পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর সহ সিনিয়র নেতাকর্মীদের ওপর ঢাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১) রাতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর বলেন, আমরা সিনিয়র নেতাকর্মীদের নিয়ে মঙ্গলবার রাতে আলোচনা করতে জাহাঙ্গীর কবির নানক ভাইয়ের সাথে দেখা করতে তার ৯/এ, ধানমন্ডি কার্যালয়ে সাক্ষাত করতে গিয়েছিলাম। এসময় সেখানে উপস্থিত উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সোহেল খানের সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাক্যবিনিময় হয়। এর কিছুক্ষণ পর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বায়জিদ আহমেদ খানের লোকজন এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। যুবলীগ নেতা সোহেল খান বায়জিদ আহমেদের বড় ভাই।
তিনি আরও বলেন, বায়জিদের অনুসারীরা আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলায় আমিসহ আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছি। পরে নানক ভাইকে বিষয়টি জানালে তিনি আমাদেরকে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। পরে আমরা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ভাইয়ের সঙ্গেও দেখা করি। তিনিও আমাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সোহেল খান বলেন, সেলিম মাতুব্বরের ওপর হামলার সাথে আমি জড়িত নই। তিনি আমাকে অপমান মূলক কথা বলার পর কে বা কারা তার ওপর হামলা চালিয়েছে আমি জানিনা। ওখানে বিভিন্ন পক্ষের লোকজন ছিল।
এ প্রসঙ্গে জানতে জাহাঙ্গীর কবির নানক এর ব্যক্তিগত সহকারী মাসুদুর রহমান বিপ্লব বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমাদের নলেজে নাই। আমরা নিচে হাউকাউ শুনেছিলাম। পরে সেখানে গিয়ে কাউকে দেখি নাই।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বায়জিদ আহমেদ খান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে আমার নেতাকর্মী নয়, আমার বড় ভাই সোহেল খান ও তার অনুসারীদের সঙ্গে নানক ভাইয়ের অফিসে কথা কাটাকাটি হয়েছে। ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। শুনেছি আমার ভাই সেখানে ছিলেন। বিষয়টিতে আমাকে জড়ানো হচ্ছে যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এদিকে এঘটনার প্রতিবাদে রাতে তাৎক্ষনিক মঠবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঠবাড়িয়ায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।