নিজস্ব সংবাদদাতা : মঠবাড়িয়ার কৃতি সন্তান জাতীয় নেতা মহিউদ্দিন আহম্মেদ এর ২৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল (১২ এপ্রিল ২০২১) সোমবার। দিনটি স্মরণে মঠবাড়িয়া এবং ঢাকায় স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন রাখা হয়।
সোমবার বিকেলে নিজ গ্রাম উপজেলার গুলিশাখালীর মিয়া বাড়িতে মহিউদ্দিন আহম্মেদ স্মৃতি সংসদ তার রুহে মাগফিরাত কামনায় ও ঢাকা ধানমন্ডি ৩২ নং সড়কের বাস ভবনে তার পরিবার দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে। ১৯৯৭ সালের ১২ এপ্রিল তিনি ইন্তেকাল করেন। তাকে ঢাকাস্থ মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মহিউদ্দিন আহমেদ ১৫ জানুয়ারি ১৯২৫ সালে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার গুলিসাখালীর মিয়া বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা প্রাক্তন এমএলসি আজাহার উদ্দিন মিয়া।
মহিউদ্দিন আহমেদ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, মাতৃ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রামের সংগঠক। পূর্ব পাকিস্তানে ও বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সকল রাজনৈতিক আন্দোলনে তিনি ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। ব্রিটিশ-পরবর্তী পাকিস্তান আমলের শুরুতে তিনি মুসলিম লীগের কর্মী ছিলেন। আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে সর্বশেষ তিনি প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ১৯৫৪ সালে তিনি যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে মঠবাড়িযা থেকে এমএলএ নির্বাচিত হন।
স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি বিলুপ্ত বাকেরগঞ্জ-১০ আসন থেকে ১৯৭৩ সালের প্রথম, বাকেরগঞ্জ-১৭ আসন থেকে ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় ও পিরোজপুর-৩ আসন থেকে ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
জননন্দিত এই নেতা এলাকায় পান্না মিয়া নামে সমধিক পরিচিত। তিনি রাজনৈতিক জীবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহচর ছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলনে অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৫ আগস্টের পর আ.লীগের দু:সময়কালে মহিউদ্দিন আহম্মেদ কেন্দ্রীয় আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
পরে তিনি বাকশাল চেয়ারম্যান হন। বাকশাল বিলুপ্ত করে আ.লীগের মূলধারার রাজনীতির সাথে আবার সম্পৃক্ত হন।