34.8 C
Mathbaria
সোমবার, মার্চ ২৭, ২০২৩

বেটা ভার্সন

মঠবাড়িয়ায় আমন চারার সংকটে কৃষকের দ্বিগুণ দামে সংগ্রহ

আরও পড়ুন

অপরাধ

মঠবাড়িয়া উপজেলা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আমন ধানের চারার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে অবিরাম ভারী বর্ষণ ও অতিজোয়ারের জলবদ্ধতায় কৃষি জমির বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ সংকটের সৃষ্টি। এতে আমন আবাদ মৌসুমের শুরুতে কৃষকরা ধানের চারার সংকটে পড়েন। ফলে কৃষক আমন ধানের চারা সংকট মোকাবেলায় পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলা থেকে ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সরবরাহ করা বীজধান দ্বিগুণের বেশি দামে সংগ্রহ করছেন।

শুরু হয়েছে আমন রোপণ মৌসুম। তাই কৃষক আমনের চারা সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

এতে কৃষকরা এবার আমন আবাদ নিয়ে মৌসুমের শুরুতে বিপাকে পড়েছেন। ধানের চারা সংগ্রহে নানা বিড়ম্বনায় কৃষকের এবার একদিকে আর্থিক ক্ষতি, অন্যদিকে যথাসময়ে চারা সংগ্রহ করতে না পেরে আমন আবাদ কিছুটা বিলম্ব হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, উপজেলায় কোনো বিএডিসির ডিলার না থাকায় স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বীজের চাহিদাকে পুঁজি করে পার্শ্ববর্তী জেলা, উপজেলা থেকে চড়া দামে বিক্রি করছেন বলে একাধিক কৃষক অভিযোগ করছেন। এবার দ্বিগুণের বেশি দামে বিপন্ন কৃষককে ধানের চারা সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বিরামহীন ভারী বর্ষণে জলব্ধতায় উপজেলার ১৫০ হেক্টর আমন ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুনরায় ভুক্তভোগী কৃষকরা বীজতলা তৈরির উদ্যোগ নেয়। এ বীজতলা তৈরি করতে ৬০ মেট্রিকটন আমন ধান বীজের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে কৃষকদের কাছে বীজধান না থাকায় তারা উপজেলা কৃষি অফিস ও পার্শ্ববর্তী উপজেলায় হন্যে হয়ে বীজধান খুঁজছেন।

সর্বত্র বীজের সংকট থাকায় কোথাও তারা বীজ পাচ্ছেন না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএডিসির ব্রি-৫২, ব্রি-৭৬ ও ব্রি-৭৭ উপকূলের এ নিচু জমিতে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বীজের মূল্য ৫২ টাকা কেজি দরে ১০ কেজির এক বস্তা কৃষক পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২০ টাকা। কিন্তু উপজেলায় বিএডিসির কোনো ডিলার না থাকায় খুচরা ব্যবসায়ীরা অন্য জেলা থেকে সংগ্রহ করার অযুহাত দেখিয়ে এক প্রকার কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেন। এ সুযোগে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বীজ সংকটের অযুহাত দেখিয়ে গোপনে চড়া দামে ধানের চারা বিক্রি করছে বলে ভুক্তভোগী কৃষকরা অভিযোগ করছেন। মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়নের চাষি আনোয়ার হোসেন, বড়মাছুয়া গ্রামের মলয় মিত্র, ধানীসাফা গ্রামের চাষি সফিকুল জানান, সম্প্রতি বর্ষার জলাবদ্ধতায় তাদের চরম ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ধান চাষের সময় হলেও বীজ ধান মিলছে না কোথাও।

এ বছর চাষের জমি ফাঁকা থাকার সম্ভাবনাই বেশি। মঠবাড়িয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শওকাত হোসেন বীজ সংকটের কথা স্বীকার করে জানান, সম্প্রতি অতিবর্ষণের ফলে আমনের বীজতলা ক্ষতি সাধন হয়েছে। ডিলার না থাকায় চাষিদের উচ্চদামে পার্শ্ববর্তী জেলা, উপজেলা থেকে বীজধান সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

তবে স্থানীয়ভাবে আগ্রহী ব্যক্তিদের মাঝে বীজের ডিলার নিয়োগ করা গেলে এ কৃত্রিম সংকট থাকবে না

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক মঠবাড়িয়া প্রেস-কে জানাতে ই-মেইল করুন- mathbariapress24@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।

উপকূল সহ দক্ষিন বাংলার আরও সংবাদ

সর্বশেষ