মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। জোয়ারে নদী ও খালের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট বেড়ে পৌর শহরের একটি ওয়ার্ডসহ ৪টি গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে। এতে ওই এলাকার ৫ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। জোয়ারের লোনা পানিতে ফসলি জমি ও বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় আমন বীজ নষ্ট হয়ে গেছে।
গত ২০ মে ২০২০ ঘূর্ণিঝড় আম্পানের জলোচ্ছ্বাসে মঠবাড়িয়া-গুলিশাখালী খালের দুই পাড়ের পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাসস্টান্ড সংলগ্ন এলাকা ও টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বাধটির কিছু অংশ বিলীন হয়ে যায়।
পৌরসভার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আব্দুল গফ্ফার বলেন, আম্পানের ফলে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি এসে পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়েছে। হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল নিয়ে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছি।
পশ্চিম টিকিকাটা গ্রামের ইউসুফ মৃধা জানান, ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি এসে বসতবাড়ি ডুবে যায়। এখন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পৌর শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছি।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী কামাল বলেন, দ্রুত বাঁধ মেরামত ও সংস্কার করা না হলে ওই এলাকা মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে।
টিকিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার বলেন, আম্পানের পর পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মঠবাড়িয়া সফরে এসে ওই বাঁধ দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তা কার্যকর হয়নি।
পিরোজপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী দ্বিপক রঞ্জন দাস বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ খুব দ্রুত সংস্কার করা হবে।